আগুনের ব্যবহার ও মানবসভ্যতার বিবর্তন
মানবসভ্যতার দ্রুত অগ্রগতির অন্যতম কারণ কী?
চার্লস ডারউইন বলেছিলেন— মানবসভ্যতার দ্রুত অগ্রগতির অন্যতম কারণ হল আগুনকে নিয়ন্ত্রণকে করতে পারার ক্ষমতা অর্জন, যা অন্যান্য প্রাণীদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। যদিও আগুনকে করায়ত্ব করতে আদিম মানুষদের লক্ষ লক্ষ বছর কেটে গেছে, তবু এই সময়ে মানবজাতির তুলনায় অন্যান্য প্রাণীদের বিবর্তনের হার কম।
জন্ম থেকে পৃথিবীর বুকে আগুনের শিখা ছিল না। আগুন জ্বালাবার জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন গ্যাস সৃষ্টির আদিতে তৈরি হয়নি। তখন প্রবল উত্তাপে সব কিছুই পুড়ে যেত, কিন্তু আগুনের শিখা দেখা যেত না। প্রায় ৩৫ কোটি বছর আগে পৃথিবীর বুকে প্রথম আগুনের আগমন ঘটে, যখন অক্সিজেনের সৃষ্টি হতে থাকে। আগুন জ্বালানোর জন্য তিনটি জিনিসের প্রয়োজন— উত্তাপ, জ্বালানী আর অক্সিজেন। একে বলা হয় আগুন ত্রিভুজ (Fire triangle)। এই তিনটি জিনিস যখন থেকে মজুত হল, তখন থেকে আগুন দেখা গেল পৃথিবীর বুকে।
গাছপালার সৃষ্টি হল, পরিবেশে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়ল। তখন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল আরও অস্থির ছিল। ঘনঘন বাজ পড়ত, আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত হত। প্রাকৃতিক কারণে জঙ্গলে দাবানল লাগত। দাবানলের জন্য চাই শুকনো পরিবেশ। আফ্রিকার সাভানা অঞ্চলে ঘাসে আগুন লেগে যেত, কিন্তু ঘন জঙ্গলে ঢাকা জলাভূমিতে বাজ পড়লেও আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারত না। সেখানে যে আগুন জ্বলত, তার উৎস ছিল মিথেন গ্যাস। সেই আগুন জ্বলত ধিকধিকি করে।
আজ থেকে প্রায় ৬০ লক্ষ বছর আগে শিম্পাঞ্জী থেকে আলাদা হয়ে মানুষের আদিপুরুষ হোমিনিনি শ্রেণীর প্রাণীরা যখন গাছ থেকে নেমে এসে মাটিতে বসবাস করতে লাগল, তখন তারা আগুনকে চিনত ও জানত, ঠিক যেমন করে অন্যান্য প্রাণীরা জানে ও চেনে, কিন্তু খুব সম্ভব আগুন থেকে তারা ভয় পেত। গাছের ফল, আর মাটির নিচের মূল খেয়েই তারা পেট ভরাত। হোমিনিনিদের জন্ম ও বিবর্তন ঘটে আফ্রিকার জঙ্গলে, যেখানে ঘন জঙ্গলের খাবারের অভাব ছিল না। সে সবই ছিল কাঁচা ফলমূল।
সংখ্যায় বেড়ে, মাটিতে ও গাছ থেকে ফলমূল জোগাড় করা অসুবিধে হওয়ায় হোমো শ্রেণীর মানুষের পূর্বজেরা খাবারের সন্ধানে আফ্রিকা ছেড়ে বেরিয়ে পড়ল নানা দিকে। সে প্রায় আজ থেকে কুড়ি লক্ষ বছর আগের কথা। তারা নদী আর জলাশয় থেকে মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণী ধরে খাওয়া শুরু করল। এর ফলে প্রকৃতির খামখেয়ালীপনার সাথে তাকে কম আপোষ করতে হল। খরা বা অতিবৃষ্টির কারণে গাছের ফলমূলে টান পড়াই এর অন্যতম কারণ।
জলাশয়ের ধারে প্রাচীন মানুষের জীবনযাপন
নানা প্রজাতির আদি মানবদের গা থেকে লোম কমে আসতে লাগল। রাতে প্রবল ঠাণ্ডা আর দিনে প্রচণ্ড গরম। তাই তারা কেউ কেউ আশ্রয় নিল গুহায়। যারা পাহাড় বা গুহার সন্ধান পেল না, তারা দলবেঁধে বসবাস করতে লাগল খোলা জমিতে। দল বাঁধার আর একটি প্রয়োজন ছিল শিকার ধরা। বুনো জন্তু শিকার করতে গেলে লাগে গায়ের জোর। একা কোনও মানুষের পক্ষে সে কাজ অসাধ্য হয়ে উঠল। কাঁচা পশু মাংস খাওয়া শুরু করল মানুষ।
প্রকৃতির করাল থাবা থেকে বাঁচতে প্রয়োজন হল ঘর বাঁধার। মানুষের বাসায় জংলী জানোয়ারেরা রাতের বেলায় হানা দিত। তাদের ঠেকানোর জন্য আগুন জ্বালানোর প্রয়োজন পড়ল। প্রথম প্রথম জঙ্গলের আগুনকে বাঁচিয়ে রাখতে হত প্রশমিত করে। কাঠকুটো ব্যাবহার করে সেই আগুনকে জিইয়ে রাখতে যে রীতিমত কসরত লাগত, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। রাতে আগুন জ্বলিয়ে জন্তুদের আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে দিনের বেলাতেও সেই আগুনকে বাঁচিয়ে রাখতে হত।
খুব সম্ভব বৃষ্টির জলে বা হাওয়ার অভাব হলে আগুন নিভে যেত। তাই প্রয়োজন হল আগুন জ্বালাবার কৌশল আয়ত্ব করার। কীভাবে পৃথিবীর মাটিতে একদিন সেই আগুন জ্বালিয়েছিল কেউ, আজ আর তা জানবার কোনও সুযোগ নেই। তবে গুহাবাসী মানুষদের ব্যবহার্য ফেলে যাওয়া নানা বস্তু আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাতে জানা গেছে খুব সম্ভব চকমকি পাথর, বা কোয়ারজাইট ঠুকে ঠুকে প্রাচীনকালে আগুন জ্বালানো হত। বিজ্ঞানী অনুসন্ধানে এমন হদিসও পাওয়া গেছে যে, আদিমানবেরা অনেকে শক্ত লাঠি একটা পাথরের গর্তে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে আগুন জ্বালাতে শিখেছিল।
আগুন জ্বালাবার প্রাচীন পদ্ধতি (সূত্র- মঙ্গোলিয়ার যাদুঘর)
আনুমানিক দশ লক্ষ বছর আগে মানুষ আগুন জ্বালানো ও তার নিয়ন্ত্রন আয়ত্ব করে ফেলে। যদিও খাবার পুড়িয়ে বা রান্না করার আবিষ্কার তখনো হয়নি। মানুষের দ্বারা আগুন ব্যবহার করার সবাচাইতে প্রাচীন যে নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে তার বয়স প্রায় দশ লক্ষ বছর। আগুনের ব্যবহার করার ক্ষমতা হল নিজেকে সবচাইতে অগ্রসর প্রাণী বলে প্রতিষ্ঠিত করার চাবিকাঠি। কাঁচা মাংস পুড়িয়ে খেলে হজমের সুবিধা হয়, তাই ঠাণ্ডা আর বন্যপ্রাণীর আক্রমণ থেকে যে আগুন মানুষকে সুরক্ষা দিচ্ছিল, তাই মাংস পুড়িয়ে খেলে সুবিধে হয়, তা বুঝতে সময় লাগল না আদিম মানুষদের। মাংস পুড়িয়ে খাওয়াটা তারা হয়ত শিখেছিল দাবানলে দগ্ধ হওয়া পশুদের খাবার হিসাবে ব্যবহার করতে গিয়ে। বিভিন্ন শক্ত বাদাম জাতীয় ফলও পুড়ে গেলে ভেঙে খেতে সুবিধে হয়, সেটা তারা অভিজ্ঞতা থেকে জেনেছিল। জঙ্গলের অন্যান্য পশুরাও অর্ধদগ্ধ পশু মাংস খেত নিশ্চয়ই, কিন্তু আগুনকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা তারা আয়ত্ব করতে পারল না। একমাত্র মানুষের দখলে এল সেই স্বর্গীয় ক্ষমতা।
নৃতত্ত্ববিদেরা খুঁজে পেয়েছেন আদি মানবদের রান্নাঘর। কিন্তু রান্নাঘর বলতে আমরা যা বুঝি, তেমন সাজানো গোছানো টাইল লাগানো সুদৃশ্য ঘর নয়। পাহাড়ের প্রত্যন্ত গুহার মেঝেতে গর্ত খুঁজে পাওয়া গেছে, যেখানে পোড়া কাঠের টুকরো (চারকোল) পাওয়া গেছে, যা দেখে অনুমান করা যায়, সেই গর্তে পশুমাংস পোড়ানো হত। এই নিদর্শনের বয়স আনুমানিক তিন লক্ষ বছর আগের। তবে অনেকে দুলক্ষ বছরের আগের বলেও দাবি করে থাকেন।
আজ থেকে প্রায় তেরো হাজার বছর আগে অন্য সব হোমিনিনি প্রজাতির মধ্যে একমাত্র হোমো-স্যাপিয়েন্স— বর্তমানের মানুষ পৃথিবীর মাটিতে বেঁচে থাকতে সক্ষম হয়। বাকি প্রজাতিরা বিলুপ্ত হয়ে যায়। সব প্রজাতির হোমিনিনিরাই আগুনের ব্যবহার জানত। কিন্তু বিবর্তনে শুধু মাত্র হোমো-স্যাপিয়েন্সরাই কেন বেঁচে থাকার যোগ্যতা পেল, সে নিয়েও রয়ে গেছে রহস্য।
খাদ্য সহজপাচ্য হয়ে যেতে মানুষের শরীরে জৈবিক পরিবর্তন হল। আগের তুলনায় জঠরের অন্ত্র দৈর্ঘে ছোট হয়ে গেল, কারণ পেটের খাবার পাচন ঘটানোর জন্য বড় অন্ত্রের প্রয়োজন আর হল না। মাথা ও চোয়াল ছোট হল। দাঁতের আকার ছোট হতে লাগল। শক্ত খাবার ভেঙে, ছিঁড়ে বা চিবিয়ে খেতে বড় বড় দাঁত লাগত। এখন কম চিবিয়ে ঝলসানো খাবার সহজেই হজম হতে লাগল। কাঁচা খাবারের সাথে যে সমস্ত জীবাণুরা লেগে থাকত, আগুনের তাপে সেই সব জীবাণু মরে গিয়ে খাদ্য শুদ্ধ হতে লাগল। সুষম আহারের ফলে মানুষের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটতে লাগল।
আগুনের ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রন ক্ষমতার ফলে ধাতুর আবিষ্কার হল। পাথরের অস্ত্রের যায়গা নিল ব্রোঞ্জ ও তারপর লোহার ধারালো অস্ত্র। মানুষ কৃষিকাজ আবিষ্কার করল। এর আগে খাদ্যের ভাঁড়ার টিকিয়ে রাখতে তারা পশুপালন করত। খুব সম্ভব পশুদের খাদ্য জোগাড় দিতে আবিষ্কার হয় চাষবাসের কৌশল। বিস্তীর্ণ জঙ্গল পরিষ্কার করে চাষের উপযুক্ত জমি তৈরি করতে জঙ্গলে আগুন লাগাত মানুষ। শস্য চিবিয়ে খেয়ে হজম করতে অসুবিধা হওয়ায় রান্না করার কৌশল আবিষ্কার হল। সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে জীবিকা নির্বাহ করার তাগিদে গড়ে উঠল ছোট ছোট গ্রাম। রান্নার কাজে ব্যবহার হতে লাগল মাটির বাসন। আগুনে পুড়িয়ে সেই মাটির বাসন শক্ত ও অগ্নিপ্রতিরোধক করা হল। এরই সাথে সাথে শুকনো মাটি পুড়িয়ে ইট তৈরি করে পাকা বাড়ি বানানো শুরু হল। যন্ত্রের প্রয়োজন জন্ম দিল নতুন নতুন আবিষ্কার। গড়ে উঠল কারখানা ও শহর।
প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণায় প্রাচীনকালে মানুষের আগুন ব্যবহার করে রান্না করার অনেক নিদর্শন পাওয়া গেছে সারা পৃথিবীতে। মাটির উপরে সেই সব নিদর্শন পাওয়া যায় না, কারণ জল ও আবহাওয়ার প্রভাবে বিলীন হয়ে গেছে সেই সব চিহ্ন। কিন্তু খননকার্য করে বা পাহাড়ের গুহায় এমন চাঞ্চল্যকর বহু প্রমাণ পাওয়া গেছে। পোড়া মাটি, ইট, পোড়া কাঠ বা চারকোল এবং পশু শরীরের হাড় ইত্যাদি পরীক্ষা করে সেই আগুন জ্বালানোর ঘটনার সময় গণনা করা হয়েছে। আগুন ব্যবহারের সবচাইতে প্রাচীন নিদর্শন পাওয়া যায় আফ্রিকার কেনিয়া অঞ্চলে। সেখানে দশ লক্ষ বছর আগের কিছু পোড়া ইটের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। চিনের বেজিং শহরের কাছে আজ থেকে প্রায় ৪-৭ লক্ষ বছর আগের হোমো ইরেক্টাসদের আগুন ব্যবহারের প্রচুর নিদর্শন খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।ইস্রায়েল ও ইংল্যান্ডে এমন নিদর্শন পাওয়া গেছে, যাদের আনুমানিক বয়স ৪ লক্ষ বছর।
৪০ থেকে ৫০ হাজার বছর আগে মানুষ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে মানুষের ছড়িয়ে পড়া বেড়ে যায়। এর অন্যতম কারণ খুব সম্ভব তুষার যুগের আগমন। জল জমে শক্ত বরফ হয়ে যাওয়ায় যাতায়াত সুগম হয়। প্রায় দশ হাজার বছর আগে মানুষ চাষআবাদ করতে শেখে। বদলে যায় জীবনধারা, বসতির ঘনত্ব বাড়তে থাকে। চাষবাস করার পরই খুব সম্ভব রান্নাবান্নার চলন হয়। খুব স্বাভাবিক ভাবেই পাত্রের প্রয়োজন হয়। চীনে পোড়া মাটির বাসন বানানোর সবচাইতে প্রাচীন নিদর্শন পাওয়া যায়। ৫ হাজার বছর আগে শুরু হয় তামা ও কাঁসার ব্যবহার। এই সময় আগুনের ব্যবহার বহুগুণ বাড়ে।
আগুনের উপর কর্তৃত্ব ফলানোয় অন্য প্রাণীদের তুলনায় মানুষ দিনের বেশি সময় জেগে থাকতে শুরু করে। অন্যান্য প্রাণীরা যেমন ভোরের আলোয় ঘুম থেকে উঠে আবার সূর্য ডুবে যেতে ঘুমিয়ে পড়ে, মানুষ আগুন জ্বালিয়ে রাতে জেগে থাকতে পারে। কর্ম সময় বেড়ে যাওয়ায় মাথা খাটিয়ে নতুন নতুন আবিষ্কার হতে থাকে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ে সামাজিক জীবনে। বিভিন্ন পণ্যদ্রব্য উৎপাদন হতে থাকলে পরস্পরের উপর নির্ভরশীলতা যেমন বাড়তে থাকে, ব্যবসা বাণিজ্যের সূত্রপাত হয়।
আগুনের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার করে খাদ্য তৈরির নানা কৌশল আবিষ্কার হতে থাকলে মানুষের শরীরে তার প্রভাব পড়ে। তাই দশ হাজার বছর আগের মানুষের সাথে আজকের আধুনিক মানুষের শরীরের গঠনের পার্থক্য দেখা যায়। কাঁচা খাদ্যের চাইতে রান্না করা খাদ্যে শক্তির পরিমাণ বেশি এবং সহজপাচ্য। চিবিয়ে খাবার খেতে সময় কম লাগতে শুরু করল। ফলে কম সময়ে খাবার খেয়ে অন্য কাজে বেশি সময় দিল মানুষ। মাংস রান্না করে খাওয়ার ফলে একদিকে বেশি পরিমাণ প্রোটিন শরীরে প্রবেশ করে শক্তির পরিমাণ গেল বেড়ে। চিবিয়ে খাওয়ার জন্য কম জোর লাগে বলে চোয়ালের আকৃতি এবং দন্তসজ্জার পরিবর্তন ঘটে। দাঁত ছোট হতে থাকে, বুকের খাঁচার আকৃতি বদলে যায়। হোমো-হ্যাবিলিসদের বুকের পাঁজর ছিল ঘণ্টার আকৃতির। হোমো-ইরেক্টাসদের পাঁজর হল চোঙাকৃতির। খাদ্য সহজপাচ্য হওয়ার দরুন মানুষের ক্ষুদ্রান্ত্রের দৈর্ঘ গেল কমে। রান্না করা খাবার খাওয়ার ফলে যে অতিরিক্ত শক্তি সঞ্চয় হল, তার ফলে মানুষের মস্তিষ্কের আকৃতি বেড়ে গেল। কিন্তু দেহ ছোট হতে লাগল, কারণ একই সাথে দেহ ও মস্তিষ্ক সমান বড় হতে যে পরিমাণ শক্তি লাগার কথা, ততটা পাওয়া গেল না।
মানুষের দৈহিক ও সামাজিক বিবর্তনে আগুনের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ বলে তাই মনে করেন বিজ্ঞানীরা।
অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়: পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়াশুনো প্রথমে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে, পরে দিল্লী আই.আই.টিতে।বর্তমানে প্রায় তিন দশক ধরে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন একটি গবেষণাগারে বৈজ্ঞানিক পদে কর্মরত। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় বিজ্ঞান বিষয়ে লেখার পাশাপাশি ছোটগল্প লেখেন।