Environment-পরিবেশFree Articlesপ্রবন্ধ প্রতিযোগিতা

বিজ্ঞান যখন পরিবেশ রক্ষক

‘বিজ্ঞান’ অর্থাৎ বিশেষভাবে কোনো কিছুকে জানা। কিন্তু সেই বিশেষভাবে জানা জ্ঞানকে দিয়ে কখন যে আমরা নিজেদের পরিবেশের ক্ষতি করতে শুরু করলাম তাই আমাদের কাছে অজানা। বিবর্তনের নিয়মে একটা সময় ‘মানুষ’ নামক বুদ্ধিমান জীবটি পৃথিবীতে যখন প্রথম আবির্ভূত হয়েছিল তখন সবকিছুই তার কাছে ছিল ‘বিস্ময়’। এই ‘বিস্ময়’ থেকেই তার মধ্যে জাগল কৌতুহল। কৌতূহলী মন নিয়ে সে আশেপাশের অনেক কিছুরই সমাধান করে ফেলল আবার অনেক কিছুরই পেরে উঠলো না। তার বিস্ময়ের অন্ত ছিল না চারপাশের পরিবেশ নিয়ে। যা কিছু ঘটছে সবার কারণ খোঁজার জন্যেই তৈরি হল বিজ্ঞানের। বিজ্ঞান এগিয়ে নিয়ে চলল মানব সভ্যতাকে। বিজ্ঞান নিয়ে এলো প্রযুক্তিকে। কিন্তু মানব জাতির তীব্র আকাঙ্ক্ষা এই প্রগতিতে সন্তুষ্ট ছিল না। সে বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়েই জয় করতে চাইল গোটা প্রকৃতিকে। এর ফলে, যে পরিবেশকে সে একটা সময় সমীহ করে চলত এমনকী পুজোও করত সেই পরিবেশকেই নিজের প্রয়োজনে ও স্বার্থের জন্য ক্ষতি করতে লাগল। দুঃখের বিষয়, বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে এই পরিবেশ ক্ষতির ধারাও বজায় থাকল। আজ যখন ‘Global warming (বিশ্ব উষ্ণায়ন)’-এর করাল গ্রাসে মানব জীবন পতিত হল তখনও কিন্তু মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের ভাবনা শুরু হয়েছে পরিবেশ রক্ষা নিয়ে। তৃতীয় বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ আজও অসচেতন পরিবেশ নিয়ে। বাংলায় একটা কথা আছে, “যে রক্ষক সেই ভক্ষক”। আর তাই, এককালে যে বিজ্ঞানের বলে মানুষ পরিবেশকে ভক্ষণ করতে চেয়েছিল আজ সেই বিজ্ঞানের বলেই সে পরিবেশকে রক্ষা করতে চায়। এখানে মনে রাখতে হবে যে, মানুষের অসাবধানতা ও স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যে বিজ্ঞানকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজে লাগানো হচ্ছে যা থেকে পরিবেশের ক্ষতিও দেখা দিয়েছে।

বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়েই আজ মানুষ পরিবেশের ক্ষতি সাধন করে চলেছে। বিজ্ঞানের হাত ধরে এসেছে প্রযুক্তি, প্রযুক্তির ফলেই জোরদার হয়েছে শিল্পায়ন। এই শিল্পায়নের ফলেই অনেকাংশেই ক্ষতি হয়ে চলেছে পরিবেশের। ধরা যাক, একটি রাসায়নিক কারখানার পাশেই আছে কৃষি ক্ষেত ও পুকুর। সেই কারখানা থেকে যে রাসায়নিক বর্জ্য নির্গত হয় তা কৃষি জমিতে পড়লে সেই জমির ক্ষতি হবে বা বলা যায় সেই জমি আম্লিক বা ক্ষারকীয় হয়ে গিয়ে তার উর্বরতা হারাবে। অল্প রাসায়নিক জমিতে মিশলে সেখানকার উৎপাদিত ফসল খাদ্য রূপে মানুষের পেটে গিয়ে নানা রোগ বাঁধাবে। আবার এইসব রাসায়নিক পদার্থ পুকুরে মিশলে সেখানকার জীবদের ক্ষতি করবে। যেসব মাছেদের পেটে ওই রাসায়নিক বস্তু গেছে সেইসব মাছ মানুষ খেলে তাদেরও বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। অর্থাৎ প্রযুক্তির সাথে শিল্পায়ন পরিবেশের নানা ক্ষতি করতে পারে। সারা দুনিয়া জুড়ে পরিবেশ নিয়ে যেসব আলোচনা হয় সেখানে এই শিল্পায়নের দ্বারা পরিবেশের ক্ষতি হওয়ার বিষয়টিও উপস্থাপনা করা হয় (Ausubel & Sladovich, 1999)। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আজ আমরা গাছ কেটে বসতি বানাচ্ছি। গাছ কাটার ফলে বাড়ছে কার্বন ডাই অক্সাইড। আবার, ফ্রিজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে সিএফসি (CFC- chlorofluorocarbon)। এই সিএফসি ও কার্বন ডাই অক্সাইড থেকেই ঘটে চলেছে বিশ্ব উষ্ণায়ন। নিরন্তর গাছ কাটা, এসি চালানো, জ্বালানী পোড়ানো থেকে বিপুল ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে আমাদের পরিবেশের। আসলে এতে বিজ্ঞান বা প্রযুক্তির দোষ নেই। আসলে পরিবেশের উপর প্রযুক্তির প্রভাব নির্ভর করবে কোন কোন প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে আর তা কীভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে তার উপর(Halit, 2002)। আর এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে বেঠিক পথে চালিত করেই আমরা পরিবেশের ক্ষতি সাধন করেছি, বিশ্ব উষ্ণায়ন ঘটিয়েছি আর বিপুল পরিমাণে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহৃত করে পরিবেশের ভারসাম্যহীনতা নষ্ট করেছি। আজ যখন প্রাকৃতিক খামখেয়ালিপনা, বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে নানা ধরনের অসুখ বেড়েই চলেছে তখন বিশ্বের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীদের চিন্তার ভাঁজ পড়েছ- কীভাবে বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে পরিবেশকে রক্ষা করা যাবে? আর পরিবেশের ওপর এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রভাব বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং ব্যক্ত করেছেন, “Our population and our use of the final resources of planet Earth are growing exponentially, along with our technical ability to change the environment for good or ill.” এবারে জেনে নেওয়া যাক, বিজ্ঞান কীভাবে পরিবেশের রক্ষার কাজে সাহায্য করতে পারে।

আমরা একটা কথা বলে থাকি আর তা হল “বিষে বিষক্ষয় হয়” বা অন্যভাবে বলা যায় “কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা”। এই পরিবেশ দূষণের ক্ষেত্রেও এই বিষয়টি বিশেষভাবে প্রযোজ্য। যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে অপব্যবহার করে মানুষ পরিবেশের ক্ষতি করে চলেছে সেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি আজ মানুষকে পথ দেখাচ্ছে পরিবেশ রক্ষা করার কাজে। বিজ্ঞান আমাদের পুনর্ব্যবহার (recycling) করতে শেখায়। একটি ব্যবহৃত জিনিসকে যখন আমরা উদ্ভাবনী উপায় আবার তাকে অন্যভাবে ব্যবহার করতে পারছি তখন তাকে পুনর্ব্যবহার বলছি। তাহলে পুরোনো জিনিসগুলো ফেলে না দিয়ে সেগুলোকে আবার কাজে লাগানো হচ্ছে। এইভাবে বাড়ির, অফিসের হাসপাতালের, কারখানার ইত্যাদি বিভিন্ন জায়গার বর্জ্য পদার্থগুলিকেও কাজে লাগাতে পারা যায়। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি কাজে লাগানো হচ্ছে কোনো কিছু পুনর্ব্যবহার করতে। এভাবে পুনর্ব্যবহারের ফলে আমরা সম্পদ রক্ষা করতে পারি। এভাবে উৎপাদনও সংরক্ষিত রাখা হচ্ছে। এই পুনর্ব্যবহার শক্তির অপচয় থেকেও রক্ষা করছে। আর শক্তির অপচয় থেকে যখন রক্ষা করছে তখন ‘গ্রিন হাউস গ্যাস’ উৎপাদনেরও হ্রাস ঘটাচ্ছে। এভাবে, পুনর্ব্যবহার পরিবেশকে রক্ষা করছে।

বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে আমরা কিছু পরিবেশ বান্ধব বিকল্প শক্তির উৎস খুঁজে পেয়েছি। যে সূর্যের সাথে আমাদের রোজ মোলাকাত হয়ে থাকে সেই সূর্যেরই বিপুল শক্তি আমরা কাজে লাগাচ্ছি সৌরচুল্লী, সোলার হিটার, সৌর কোষ(যা থেকে বিদ্যুৎও উৎপন্ন হচ্ছে) ইত্যাদি তৈরি করতে। যে বায়ু আমরা শ্বাস-প্রশ্বাসে গ্রহণ করছি উইন্ডমিলের সাহায্যে তা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে গম পেষাই করছি আবার জল তোলার কাজে ব্যবহার করছি। জোয়ার-ভাটাকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি। বিজ্ঞানের উন্নতির দৌলতে আমরা পৃথিবীর ভেতরে পৌঁছে সেখানকার বিপুল তাপ শক্তিকে কাজে লাগাচ্ছি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্যে। আমরা পশু-পাখির মল, শাক-সবজির খোসা, ফলের ছিবড়া ও খোসা, প্রাণীর মৃতদেহ সহ বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থ থেকেও শক্তি উৎপাদন করছি। অর্থাৎ, বায়োমাস বা বায়োগ্যাস থেকেও আমরা শক্তি উৎপন্ন করে থাকি। বিজ্ঞানের দৌলতে আরও বিভিন্ন উপায় আমরা বিকল্প শক্তির সন্ধানলাভ করেছি এবং দেখা গেছে যে সেগুলো কাজে লাগালে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। আবার এই শক্তি ব্যবহারের ফলে কার্বন ডাই অক্সাইড ও জ্বালানীর উৎপাদনও কমানো যাচ্ছে।

আজ আমরা বিজ্ঞানের দৌলতে এমন এক প্রযুক্তির কথা জানতে পেরেছি যা কিনা পরিবেশ বান্ধব। যার সঠিক প্রয়োগে আমাদের কাজও হবে আবার পরিবেশেরও কোনো ক্ষতি হবে না। এই প্রযুক্তিকে বলা হয় ‘সবুজ প্রযুক্তি(Green Technology)’। আসলে, পরিবেশ বাঁচানোই এবং পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি বা সামগ্রী তৈরি করাই হল সবুজ প্রযুক্তির লক্ষ্য। যদি আগে তৈরি করা হয়েছে কোনো প্রযুক্তি দেখা যায় যে পরিবেশের ক্ষতি করছে তবে সবুজ প্রযুক্তির কাজই হল সেই প্রযুক্তিটিকে ঠিক করিয়ে পরিবেশের কাজে লাগানো। বর্জনীয় পদার্থকে পুনর্ব্যবহার করা, জল শোধন করা, শক্তি উৎপন্ন করা এবং প্রাকৃতিক উপাদান সংরক্ষিত করা ইত্যাদি সবুজ প্রজুক্তির কিছু উদাহরণ (Kenton, 2019)। বর্তমানে সারা দুনিয়া জুড়ে সবুজ প্রযুক্তির সাহায্যে নবায়নযোগ্য শক্তি এবং নানা পরিবেশ বান্ধব শক্তি উৎপন্ন করার শিল্প গড়ে উঠছে। সবুজ প্রযুক্তি সম্পর্কে সদ্য প্রয়াত বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী ফ্রীম্যান জন ডাইসন বলেছেন, “ In the long run, the only solution I see to the problem of diversity is the expansion of mankind into the universe by means of green technology… Green technology means we do not live in cans but adapt our plants and our animals and ourselves to live wild in the universe as we find it… When life invades a new habitat, she never moves with a single species. She comes with a variety of species, and as soon as she is established, her species spread and diversify further. Our spread through the galaxy will follow her ancient pattern.”

আবার রসায়নবিদ্যারও এমন একটা বিভাগ বা শাখা গড়ে উঠেছে যা দিয়ে নানারকম রাসায়নিক দ্রব্য তৈরি করা যাবে যা পরিবেশের কোনো ক্ষতি করবে না বরং ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার কমাবে। রসায়নের এই নতুন শাখার নাম ‘সবুজ রসায়ন(Green Chemistry)’। এই সবুজ রসায়নবিদ্যা কিছু মূলনীতি পালন করে চলে।সবুজ রসায়নের এইসব মূলনীতিগুলি 1991 সালে প্রস্তাব করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী পল টি অ্যানাস্তাস এবং জন সি ওয়ারনার৷ সবুজ রসায়নের মোট ১২ টি মূলনীতি বা মূলমন্ত্র রয়েছে৷ এই মূলনীতিগুলো হলঃ

  • বর্জ্য পদার্থ রোধকরণ,
  • সর্বোত্তম অ্যাটম ইকনমি
  • ন্যূনতম ঝুঁকির পদ্ধতির ব্যবহার
  • নিরাপদ কেমিক্যাল পরিকল্পনা
  • নিরাপদ দ্রাবক ব্যবহার
  • বিক্রিয়ার শক্তি দক্ষতা পরিকল্পনা
  • নবায়নযোগ্য কাঁচামাল ব্যবহার
  • ন্যূনতম উপজাতক
  • প্রভাবশালী প্রয়োগ
  • প্রাকৃতিক রূপান্তর পরিকল্পনা
  • যথাসময়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণ
  • দুর্ঘটনা প্রতিরোধ

এইসব মূলনীতিগুলোকে কাজে লাগিয়েই নানা পদ্ধতি উদ্ভাবন করে সবুজ রসায়ন বিভিন্ন রকমের পরিবেশ বান্ধব রাসায়নিক পদার্থ তৈরি করে চলেছে। আজ এইসব নানা রাসায়নিক দ্রব্য মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত হয়ে চলেছে। এইসব রাসায়নিক দ্রব্যগুলি বিভিন্ন অসুখে, বিভিন্ন সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ও বিলাসিতার জন্যে, পরিবেশ রক্ষায় ব্যবহৃত হয়ে চলেছে। সবুজ রসায়নের ফলে নানা পরিবেশ বান্ধব পলিমার তৈরি করে চলেছে। এই পলিমারগুলি আমাদের রোজকার জীবনেও কাজে লাগছে। তাই, আজ সবুজ রসায়ন পলিমার রসায়নেরও একটি বিশেষ শাখা। প্রতিদিনই বিভিন্ন উপায় অনেক বর্জ্য পদার্থ তৈরি হচ্ছে। এইসব বর্জ্য পদার্থের ক্ষতিকারক মাত্রাও বিশাল। আবার অন্যদিকে, দেখা গেছে যে সবুজ রসায়নের সাহায্য নিলে কোনো বর্জ্য পদার্থ উৎপন্ন হয় না। আর যদিও বা হয় তবে তার ক্ষতিকারক মাত্রা ওইসব বর্জ্য পদার্থগুলির থেকে অনেক কম। সবুজ রসায়নের থেকে উৎপন্ন পদার্থের আনুষঙ্গিক ক্রিয়া(side effects) অনেক কম। আর আনুষঙ্গিক পদার্থ(side products)-এর পরিমাণও অনেক কম এমনকী বেশিরভাগ বিক্রিয়ার ক্ষেত্রেও অনেক কম। দেখা গেছে যে, সবুজ রসায়নের ক্ষেত্রে রাসায়নিক যৌগের পরিমাণও প্রচলিত পদ্ধতির থেকে অনেক বেশি উৎপন্ন হয়।

সবুজ রসায়নের এইসব ভালো দিকের জন্যে আজ বিশ্বের বিভিন্ন পরীক্ষাগারে সবুজ পদার্থ তৈরি করা হচ্ছে। দেখা গেছে বহু ব্যবহৃত প্রচলিত পদার্থের জায়গায় আজ সবুজ পদার্থ (অর্থাৎ পরিবেশ বান্ধব পদার্থ) ব্যবহৃত হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ বলতে পারি, সবুজ রসায়নের ফলেই বেশ কিছু রাসায়নিকের যেমন অ্যাসিটিক অ্যানহাইড্রাইড, জাইলিন ইত্যাদির ব্যবহার কমে গেছে। এদের বদলে ব্যবহৃত হচ্ছে বেশ কিছু পদার্থ যাদের পতিক্রিয়া একই। এই যেমন অ্যাসিটিক অ্যানহাইড্রাইডের জায়গায় ব্যবহৃত হচ্ছে জিঙ্ক অক্সাইড এবং অ্যাসেটিক অ্যাসিড। আজকাল সবুজ পদার্থ অনেক বেশিই ব্যবহৃত হচ্ছে। এর ফলে অনেক কম সময়ে অনেক বেশি রাসায়নিক যৌগ তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে আমেরিকান বিখ্যাত বিজ্ঞান লেখিকা জ্যানাইন বেনিয়াসের এক উক্তি বড়োই প্রাসঙ্গিক, তিনি বলেছেন, “Green chemistry is replacing our industrial chemistry with nature’s recipe book. It’s not easy, because life uses only a subset of the elements in the periodic table. And we use all of them, even the toxic ones. ”

তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, বিজ্ঞানকে নিরন্তর কাজে লাগিয়েই আমরা পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি ও নানা দ্রব্য উৎপাদিত করতে পারি। তাই, পরিবেশ রক্ষায় বিজ্ঞান অবশ্যই এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। অতএব, ভরসা থাকুক বিজ্ঞানে!


ইন্দ্রনীল মজুমদার: বিজ্ঞানে স্নাতকত্তোর, বর্তমানে বিজ্ঞান লেখক।