পাখির ডাকে ঘুম ভাঙুক আপনার
হারিয়ে যাচ্ছে পাখির বাসা!
মানুষের জনসংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে কমে যাচ্ছে গাছের সংখ্যা , গৃহের গড়নও বদলে যাচ্ছে; অসহায় হয়ে পড়ছে সেই সব পাখিরাও যারা মানুষের কাছাকাছি থাকার অভ্যেস করে নিয়েছে। আজকের বাড়িতে ঘুলঘুলি নেই, নেই ছাদের খোলা জল বেরোবার নলও। পাখিরা বাসা বানাবার জায়গা পাচ্ছে না; তাদের সংখ্যা কমতেই থাকছে। আপনার বাড়ির কোন এক নিরালা কোনের একটা কৃত্তিম বাসা আপনার সকালটাকে কাকলি মুখর করে তুলতে পারে।
পাঞ্জাবের জীববৈচিত্র সংস্থা (Punjab Biodiversity Board) একটা খুব সুন্দর পরিকল্পনা নিয়েছে; ওরা শহুরে গৃহস্থদের ঘরে ঘরে পাখিদের জন্যে কৃত্তিম বাসা লাগাতে উৎসাহ দিচ্ছে।
এই বাসা তাদের মঞ্চটা দেবে বাসা বানাবার, বাকি মাল-মসলা পাখিরাই জোগাড় করে নেবে।
আপনার বাড়ির কিছুটা অংশ একটু কাঠকুটো ইত্যাদিতে ময়লা হয়তো হবে; তবে একটা প্রজাতিকে বেঁচে যাবার একটা মঞ্চ দেবেন আপনি। বিনিময়ে ওরা দেবে আপনাকে কাকলি মুখর সকাল আর সন্ধ্যা।
ফরিদকোটের সংস্থা BEERH (Bird Environment Earth Reviving Hand বা পৃথিবীর পাখির পরিবেশ ফিরিয়ে দেবার সহায়তা ) ২০১১ থেকে পাখির কৃত্তিম বাসা তৈরি করে কম খরচে শহর আর মফস্বল অঞ্চলে দিচ্ছে। এখনো পর্যন্ত্য এরা ৮০০০ বাসা সফলভাবে বসাতে পেরেছে ফিরোজপুর, মোগা, বারনালা, ফরিদকোট আর ভাতিন্ডা জেলায়।
এরা বিশেষজ্ঞ ১৫ প্রজাতির পাখির বাসা বানাতে; তার মধ্যে আছে চড়াই, পায়রা, শালিখ, টিয়া, কয়েক প্রজাতির পেঁচা, দোয়েল এমনকি নীলকণ্ঠ পাখিরও।
ওরা বাসা বানায় পোড়ামাটি আর কাঠের। পোড়া মাটির বাসার দাম পড়ে ৫০ থেকে ১০০ টাকা; কাঠের ৩০০ টাকা।
এই প্রচেষ্টা একটা দীর্ঘমেয়াদের সমাধান আনতে পারে পাখির সংখ্যা কমে যাওয়া আটকাতে। অনেকেই কলকাতা আর এই শহরের উপকণ্ঠে থাকেন – আসুননা আমরাও একটু চেষ্টা করি আসন্ন পরিবেশ দিবসে (৯ জুন) কিছু করতে।